শরৎবাবু তোমাকে
-রীণা চ্যাটার্জী
শ্রদ্ধেয়
কেমন আছো শরৎবাবু? কোথায় আছো? আজ তোমার কথা বড়ো বেশী মনে পড়ছে, সেই কোন ছোট্টবেলা থেকে তোমাকে জড়িয়ে ধরে বড়ো হওয়া। তোমার লেখা প্রতিটি নারী চরিত্রের মধ্যে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে বারবার। মনে হয়েছে আমি হয়তো এই রকম কিংবা যদি হতে পারতাম ঐরকম, বড়ো মূর্ত চরিত্র যে সেই চরিত্রগুলি। নারীদের মনসমুদ্রে তুমি যে অনায়াস ডুবুরি,ডুব দিয়ে তুলে এনেছো সুখ-দুঃখের শুক্তি। নারী মনের গোপন চাওয়া-পাওয়া জানতে পেরেছি তোমার লেখনী বেয়ে…কি করে বুঝতে তুমি?তোমার কলমের বিশ্লেষণে আমাদের লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অপমান, স্নেহ, ধৈর্য্য সব তুলে ধরেছো…আমাদের মনের গোপন গভীর ভালোবাসা ও তোমার কলমে পরিচিত হয়েছে। যদি তুমি আজ থাকতে কলম কি ধরতে আজকের নির্ভয়া,তাপসী…এদের জন্য। বলতে কত শত অপমানের পরেও কেন নাম কলঙ্কিনী ?বলতে নারী মন শুধু স্বীকৃতি চায়? হ্যাঁ তুমি ঠিক বলতে … নাহলে তোমার রাজলক্ষ্মী, পার্বতী, চন্দ্রমুখী, সাবিত্রী,অভয়া সবাই ভালোবাসার অমরাবতীতে অমর হয়ে থাকতো না। আমাদের আজ তোমাকে বড়ো দরকার শরৎবাবু–আর যে কেউ বোঝে না তোমার মতো করে। আজো আমরা বেদনা বিধুর, ভালোবাসা আজো স্বীকৃতি পায় নি, ঘরে ঘরে আজো আছে পার্বতী,অভয়ারা। অনুভূতি দূর, অস্তিত্বের স্বীকৃতিও এখনো ভঙ্গুর!!
আমরা বড়ো অসহায় তোমার কলমের ছোঁয়ায় জীবন্ত হলো না আমাদের কথা, তোমার ভাবনার প্রকাশে লিপিবদ্ধ হলোনা আজকের নারীদের অনুভূতি। ফিরে এসো আর একবার, আমরা ডানা মেলি তোমার লেখনীতে, ফিরে এসো।
ভালো থেকো, প্রণাম নিও
…
অপুর্ব শ্রদ্ধাঞ্জলি
ধন্যবাদ
অনন্য অনুভুতির প্রকাশ
ধন্যবাদ